দেশের ২৪ শতাংশ শিশু খর্বকায়
বাংলাদেশে খর্বকায় শিশুর হার কমছে। ৫ বছরের কম বয়সী ২৪ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। ৪ বছর আগে এ হার ছিল ৩১ শতাংশ। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২–এর প্রাথমিক ফলাফলে শিশুপুষ্টির এ চিত্র পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে এ জরিপের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি ও আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
নিপোর্টের এ জরিপে দেশের শহর ও গ্রামের ৩০ হাজার ১৮টি খানার ওপর তথ্যে নেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয় ২০২২ সালের ২৭ জুন থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে। জরিপে সহায়তা করেছে ইউএসএআইডি।
আগের তিনটি জরিপের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, দেশে খর্বকায় শিশুর হার ক্রমাগত কমছে। ২০১১ ও ২০১৪ সালে বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম—এমন শিশু ছিল যথাক্রমে ৪১ ও ৩৬ শতাংশ।
২০১৭-১৮ সালের জরিপে দেখা যায়, সে হার কমে ৩১ হয়েছে। আর সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে চারটি শিশুর মধ্যে একটি শিশুর উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম।
শিশুপুষ্টির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দেশে কম ওজনের শিশুর হার কমছে না। বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী কম ওজনের শিশু ২২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ সালেও এ হার ছিল ২২। অন্যদিকে, কৃশকায় শিশুর হার বাড়ছে। ২০১৭-১৮ সালে কৃশকায় শিশু ছিল ৮ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১ শতাংশ। এটি পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতির লক্ষণ।
জরিপে দেখা গেছে, শহর ও গ্রামের ৯৯ শতাংশ খানায় বিদ্যুৎ আছে। দেশের ৯৮ শতাংশ খানায় কমপক্ষে একটি করে মুঠোফোন আছে। নতুন বিবাহিত তিনজন নারীর দুজনের হাতে মুঠোফোন দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নিপোর্টের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।