এক মাস পর কবর থেকে তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনছবি: পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া।

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের এক মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

সদর উপজেলার সমসেরাবাদ এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে সাব্বিরের মরদেহ তোলা হয়। পরে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় সাব্বিরসহ চারজন শিক্ষার্থী মারা যান।

এ সময় সাব্বিরের মা ও স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। শোকে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর বাবা আমির হোসেন। মা মায়া বেগম বারবার চেষ্টা করেছেন ছেলের মুখ দেখার, কিন্তু সুযোগ হয়নি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার দাফন করা হবে।

গত ১৪ আগস্ট সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়।

দাফনের এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য সাব্বিরের লাশ তোলা হয় । আজ দুপুরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদ এলাকায়
প্রথম আলো

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের উপস্থিতিতে তার মরদেহ আবার দাফন করা হবে।’