প্রতারণার মামলা: অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজির হতে সমন

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতফাইল ছবি

প্রতারণার একটি মামলায় চিত্রনায়ক এম এ জলিলসহ (অনন্ত জলিল) ছয়জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপর যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ হয়েছে তাঁরা হলেন, পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের স্ত্রী জাহানারা বেগম, পোলো কম্পোজিটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, পোলো কম্পোজিটের কর্মকর্তা মিলন ও সাইদুল ইসলাম।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা একটি প্রতারণার মামলায় পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের জমা দেওয়া প্রতিবেদন আজ আমলে নিয়ে অনন্ত জলিলসহ ছয়জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পরও টাকা বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন শাহনাওয়াজ চৌধুরী। মামলায় শাহনাওয়াজ দাবি করেন, তিনি মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর প্রতিষ্ঠান উন্নত মেশিনারিজের মাধ্যমে এমব্রয়ডারি ও জামাকাপড় প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করে। অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান ওই প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার ৬১০টি শার্টের কাটিং পার্ট রং করার কার্যাদেশ দেয়। পুরো কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাদীর প্রতিষ্ঠান অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দেয়। পরে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান এর কোনো জবাব দেয়নি। এমনকি বাদীর প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২৯ হাজার ২৯৯ ডলার পরিশোধ করেনি।

তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর প্রতিষ্ঠান অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝিয়ে দিলেও পাওনা অর্থ বুঝিয়ে দেননি। সে কারণে তিনি আদালতে এই প্রতিবেদন দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানকে পোশাকের এই কাজটি দিয়েছিল সিল্ক রুট সোর্সিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পুরো কাজ শেষ হলে পণ্যগুলো তাদের নেওয়ার কথা। ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই কাপড় রং করার জন্য মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সিল্ক রুট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানটি তার ফরমাশ দেওয়া সব মালামাল এখনো নেয়নি। সে কারণে বিল না পাওয়ায় তাঁরা মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজির পাওনা পরিশোধ করতে পারেননি। বিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অর্থ পরিশোধ করা হবে।