ঘূর্ণিঝড় হামুনের মূল অংশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ দুর্বল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হামুনের মূল অংশ উপকূল অতিক্রম করা শুরু করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলের অনেক জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এতে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি কাল বুধবার সকালের মধ্যে কুতুবদিয়া উপকূল দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের অন্য কোনো এলাকায় ঝড়ের তেমন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে কাল চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি চলতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ৮৭ মিলিমিটার। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পর দ্রুত তা বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোতে থাকে। ফলে তা শক্তি অর্জনের জন্য তেমন সময় পায়নি। যে কারণে বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি এসে এটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতের আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে নৌপথে সব নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিকেল থেকে সারা দেশে ওই নির্দেশ কার্যকর করা শুরু হয়।
এর আগে একই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। জেলাগুলো হলো পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর।