'১০ তারিখের ভোটেও ব্যালট বাক্স ভর্তির চেষ্টা হয়েছে'
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির চেষ্টা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সিইসি বলেন, ‘১০ তারিখের ভোটেও চেষ্টা হয়েছিল। যাঁদের ওপর নির্ভর করি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রাতে সিল মারার চেষ্টা করেছেন। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।’
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল বুধবার সিলেটে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোট–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি ওই কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
গত শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেছিলেন, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হলে রাতে ব্যালট বাক্স ভরার সুযোগ থাকবে না। এ বক্তব্য প্রসঙ্গে সিলেটের সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, আগুন লাগানো, পানিতে ফেলে দেওয়া ও জোরপূর্বক সিল মারা এক দিনের এবং একটি ঘটনা নয়। এটা বহু পুরোনো।
নূরুল হুদা বলেন, ‘অতীতে নির্বাচন বাক্স ছিল টিনের। যাতে ব্যালট আছে কি না বোঝা যেত না। পরে আমরা স্বচ্ছ বাক্স চালু করেছি। ইভিএম চালু হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। আগের বক্তব্যটি গত সময়ের আলোকে বলা হয়েছে।’
বিএনপিসহ বড় দলগুলো ভোট বর্জন করলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কমেনি বলে মন্তব্য করেন সিইসি।