৮১ কর্মী করোনায় আক্রান্ত, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন স্থগিত করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। ২৭ জানুয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খনিতে কর্মরত ৮১ জন বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় খনির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামানও রয়েছেন।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খনিতে কর্মরত ২৯৩ জন চীনা নাগরিকের মধ্যে ৫০ জন এবং বাংলাদেশি ৭২ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিসংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী সরকার। তিনি বলেন, এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় জ্বালানির একমাত্র উৎস বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা না গেলে নিশ্চিত জ্বালানিসংকটে পড়বে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
তবে কয়লা সরবরাহ সংকটের শঙ্কাকে নাকচ করে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এই কয়লা শেষ হওয়ার আগেই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।