হরতালের সমর্থনে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ
হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার ভোরে তাঁরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় মহাসড়কের ওপর বেশ কিছু গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধের কারণে যানবাহন বন্ধ ছিল।
এদিকে জেলার সোনাইমুড়ীতে হরতালের পক্ষে পিকেটিংকালে দুই হেফাজত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকেই জেলার সব কটি উপজেলায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। এর মধ্যেও হেফাজতের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছেন। পুলিশ খবর পাওয়ার পরপরই তা সরিয়ে দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু ইউছুফ বলেন, সকাল নয়টার দিকে তিনি সেনবাগ থেকে অটোরিকশায় করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী যাচ্ছিলেন। বেগমগঞ্জের জমিদারহাট এলাকায় এসে দেখেন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ওপর অসংখ্য গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। সড়কটি দিয়ে কোনো রিকশাও চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
বেগমগঞ্জের জমিদারহাট এলাকায় সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, সেখানে অবরোধ সরিয়ে নিতে থানা-পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ইতিমধ্যে গেছেন। হরতালে কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে আজ সকাল থেকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, মাইজদীবাজার, পৌরবাজার ও দত্তেরহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হরতালের সমর্থনে হেফাজতের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করছেন। তাঁরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে করছেন বিক্ষোভ মিছিল। পাশাপাশি তাঁরা যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। তবে পিকেটিং ও বিক্ষোভকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সতর্ক পাহারায় রয়েছে।