হবিগঞ্জে খোয়াই নদে নারীর হাত-পা বাঁধা লাশ
হবিগঞ্জ শহরের কিবরিয়া সেতুর পাশে খোয়াই নদ থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর মাথায় সিঁদুর ও হাতে শাঁখা পরা ছিল। এতে ধারণা করা হয় তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হবিগঞ্জ শহরের কিবরিয়া সেতুর পাশে খোয়াই নদে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে বিষয়টি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। লাশটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি এক দিন আগের। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে বা পানিতে ডুবিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
হবিগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে জানান, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি এক দিন আগের। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে বা পানিতে ডুবিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এ লাশের পরিচয় জানা যায়নি। লাশের মাথায় সিঁদুর ও হাতে শাঁখা থাকায় মনে হচ্ছে তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই নারীর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।