স্বাধীনতাকে মূলমন্ত্র ধরে এগিয়ে যেতে হবে: আইজিপি
‘স্বাধীনতা আমাদের অন্যতম চালিকা শক্তি। একে মূলমন্ত্র ধরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ আজ বুধবার বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস কার্যালয়ের সামনে নবনির্মিত স্মৃতিসৌধের উদ্বোধনকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ এ কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, গাজীপুরের পুলিশ লাইনসে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস পোড়ামাটির ফলকে তুলে ধরা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এটি পুরো গাজীপুরবাসী, তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাৎপর্য বহন করবে।
নবনির্মিত এই স্মৃতিসৌধের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চেতনায় স্বাধীনতা’। এটি একটি নৌকাসদৃশ স্মৃতি মিনার। মিনারটির আটটি আলাদা ফলক। প্রতিটি ফলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্পর্শ। বাঁ দিক থেকে প্রথম চারটিতে ১৯৫২, ৫৪, ৫৬ ও ৬২ সালের ইতিহাস। ডানের চারটিতে ১৯৬৬, ৬৯, ৭০ ও ৭১ সালের বর্ণনা। আর সবার ওপরে নৌকার মাস্তুলসদৃশ অংশে উদীয়মান লাল সূর্য। তার নিচে এক খণ্ড বাংলাদেশ। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আবক্ষ ভাস্কর্য।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের স্মারক হিসেবে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। আজ বিকেলে স্মৃতি মিনারটির উদ্বোধন উপলক্ষে গাজীপুর পুলিশ লাইনসে এক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধটির উদ্বোধন করেন আইজিপি বেনজির আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, গাজীপুর জেলা পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের অন্যান্য সদস্য। এ সময় স্মৃতিসৌধটির উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিহত সবার জন্য দোয়া করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। পরে অনুষ্ঠানে গাজীপুরের বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে পাঁচ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর ডিআইজি হাবিবুর রহমানের বক্তব্য শেষে বেনজির আহমেদ ‘চেতনায় স্বাধীনতা’ স্মারক সৌধের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার তাঁর বক্তব্যে বলেন, গাজীপুর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিসংগ্রামের স্মারক হিসেবে এই সৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। পরে প্রায় দেড় বছরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি নির্মিত হয়। তিনি বলেন, এই সৌধের মূল লক্ষ্যই হলো প্রজন্মান্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।