স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রী খুনের মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ওই মামলায় খালাস পেয়েছেন নিহত নারীর শ্বশুরসহ চারজন। আজ বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জজ কিরণ শংকর হালদার এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ছোটন (৩৮)। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ছোটনের বাবা ইসলাম উদ্দিন, ছোটনের স্বজন রোকন, কুসুম উদ্দিন ও আবদুল মান্নাফ। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি আবদুর রহমান মামলা চলাকালে মারা গেছেন।
মামলার নথি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছোটনের সঙ্গে ২০০৩ সালে নগদ ছয় হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে একই গ্রামের মৃত মো. আবদুলের মেয়ে হাফসা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরও যৌতুকের জন্য হাফসার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন নেমে আসে। ২০০৫ সালের প্রথম দিকে হাফসাকে পিটিয়ে বাঁ পা ভেঙে তাঁর বড় ভাই তামজিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০০৫ সালের ৭ মে চিকিৎসার কথা বলে হাফসাকে তাঁর স্বামী নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। দুই সপ্তাহ পর হাফসার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাফসাকে পাননি বড় ভাই তামজিদ। তাঁকে জানানো হয়, ময়মনসিংহে চিকিৎসা করিয়ে হাফসাকে গোবিন্দশ্রী গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়েও তামজিদ তাঁর বোন হাফসার দেখা পাননি। পরে ২৪ মে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বরশিকুড়া এলাকার চরে হাফসার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২৬ মে তামজিদ বাদী হয়ে বোনের স্বামী ছোটন, শ্বশুর ইসলাম উদ্দিন, স্বজন রোকন, কুসুম উদ্দিন, আবদুল মান্নাফ ও আবদুর রহমানকে আসামি করে ইটনা থানায় মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেওয়া হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ আফজল ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অশোক সরকার।