সৌদিতে নির্যাতিত মেয়েটিকে ফেরাতে তৎপরতা শুরু
সৌদি আরব থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সেই কিশোরীকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মেয়েটিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রথম আলো পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে থানায় যোগাযোগ করে ওই মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেন। পাশাপাশি যে দালালের মাধ্যমে কিশোরী সৌদিতে গিয়েছিল, সেই দালালের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জগন্নাথপুর পৌর এলাকার এ কিশোরীকে (১৫) একই এলাকার তারিফ উল্লার ছেলে স্থানীয় ‘দালাল’ লিলু মিয়া সৌদি আরবে পাঠান। সেখানে তাকে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৫ দিন আগে সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটি মুঠোফোনে তাঁর মাকে জানায়, সে খুবই বিপদে আছে। তাকে যেন দালালের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। এ কথা বলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর মেয়েটির মা ২ ডিসেম্বর লিলু মিয়াকে বিষয়টি জানিয়ে মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাকুতি–মিনতি করেন। তখন লিলু মিয়া উত্তেজিত হয়ে মেয়ের মাকে বলেন, ‘তোমার মেয়েকে বিদেশ পাঠাতে আমার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এই টাকা আমাকে না দিলে মেয়েকে আর তুমি পাবে না। বিদেশে তাকে আরও বেশি নির্যাতন করা হবে।’ মেয়েটির মা জগন্নাথপুর থানায় ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ করেন। ৮ ডিসেম্বর ‘সৌদি আরব থেকে মেয়েকে ফেরাতে মায়ের আকুতি’ শিরোনামে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়।