সেই দিনমজুর লিটনকে আদালতে হাজির করে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় ভোলার মো. লিটনের কারাগারে থাকার প্রেক্ষাপটে লিটনকে ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে তাঁর সঠিক পরিচয় নিশ্চিতে যথাযথ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান করে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ আদেশ দিতেও ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিটনকে কারাগারে রাখার বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
‘শুধু নাম-ঠিকানার মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শিরোনামে গত ২২ আগস্ট প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়, যা যুক্ত করে রিটটি করা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং লিটন আবেদনকারী হয়ে গত ২৪ আগস্ট রিটটি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ ওই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে অমিত দাশ গুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুসন্ধান করে ওই বিষয়ে যথাযথ আদেশ দিতে ট্রাইব্যুনালের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজনের নাম মে. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপরাধে প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন অপরজন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটনের বয়স ৪১ বছর। আর যিনি জেল খাটছেন তাঁর বয়স ৩০ বছর। তবে পুলিশের দাবি গ্রেপ্তার লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে তিনি আসামি নন।