সিরাজগঞ্জে ৩৫-৪০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
সারা বছর উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ ও ৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। টানা বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এমন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এক সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি উঠে আসে।
স্কুলশিক্ষক সেলিম রেজা খন্দকার বলেন, ৩৫-৪০ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। অথচ আয় আগের মতোই। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ের মানুষের চলা কষ্টকর হয়ে যাবে।
দফায় দফায় বন্যার কারণে কৃষকেরা ঠিকমতো মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করতে পারেননি। তাই দাম কমছে না।
বেতুয়া গ্রামের ভটভটিচালক আবু সাঈদ বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আয়-রোজগার কমে গেছে। কিন্তু সংসারের অতি প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ-মরিচের দাম দিন দিন বাড়ছেই। এতে খেটে খাওয়া মানুষের চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
কথা হয় ধানগড়া বাজারের খুচরা তরকারি বিক্রেতা আবদুল্লাহেল কাফির সঙ্গে। তিনি বলেন, মোকামে সরবরাহ কম থাকায় মরিচ ও পেঁয়াজের দাম কমছে না। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মোকামে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
কিছুদিন পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।
এ বিষয়ে বাজারের বড় ব্যবসায়ী আকুল হোসেন বলেন, দফায় দফায় বন্যার কারণে কৃষকেরা ঠিকমতো মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করতে পারেননি। তাই দাম কমছে না। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়লে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সারা বছর উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ ও ৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। উৎপাদিত পেঁয়াজ-মরিচ উপজেলার চাহিদা মেটাতে পারে না। এ জন্য অন্য উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ-মরিচ কিনে আনেন। টানা বৃষ্টির কারণে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আর পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। বৃষ্টিবাদল শেষে মরিচের উৎপাদন স্বাভাবিক হবে এবং কিছুদিন পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।