সিঙ্গাইরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারাভাঙা গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে রোববার দুপুরে হাসনা বেগম (২৭) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাসনা বেগমের পরিবারের অভিযোগ, দাম্পত্য কলহের জেরে তাঁর স্বামী বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চারাভাঙা গ্রামের ফজর আলী নামের এক কৃষক তাঁর জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি একটি ভুট্টাখেতে ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি তিনি স্থানীয় বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোহরাব হোসেনকে জানান। খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে সিঙ্গাইর থানা–পুলিশ জানায়, প্রায় সাত বছর আগে সিঙ্গাইরের রসুলপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে হাসনাকে বিয়ে করেন জেলা সদরের কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. কাইমুদ্দিনের ছেলে মোশারফ। তাঁদের দাম্পত্যজীবনে মাহিয়া আক্তার নামের পাঁচ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে হাসনাকে মারধরও করেন মোশারফ। এ কারণে মেয়েকে নিয়ে হাসনা রসুলপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান। গত বুধবার মোশারফ মুঠোফোনে হাসনাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাঁর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মোশারফের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিহত হাসনা বেগমের স্বামী জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।