রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের চেষ্টা, ব্যবসায়ীর দণ্ড ২০ হাজার টাকা
শরীরে পচন ধরা একটি গরুর মাংস বিক্রির জন্য জবাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শহিদুল ইসলাম (৪০)। কিন্তু এক কান–দু কান হয়ে খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ নিয়ে হাজির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই বিক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপেজলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা সদরের মহিলা কলেজ–সংলগ্ন পশু জবাইখানায় মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাই করার জন্য ভ্যানে করে নিয়ে আসেন শহিদুল। তিনি গরুটি তড়িঘড়ি করে জবাই করে মাংস বিক্রির জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বিষয়টি দেখে ফেলেন এবং খবর পৌঁছান ইউএনও পিজুস চন্দ্র দের কাছে। তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পুলিশ নিয়ে জবাইখানায় যান এবং অভিযোগের সত্যতা পান। পরে রোগাক্রান্ত গরুটি জব্দ করেন এবং শহিদুলকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে বলেন, রোগা গরুটি জবাই দেওয়ার আগেই ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে আটক করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গরুটি খুবই অসুস্থ ও সারা শরীরে ক্ষত ছিল। এই মাংস খেলে মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারত। গরুটি কী রোগে ভুগছে, তা নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।