‘রাজশাহী সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে মাদকের প্রবণতা বেশি। এর সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকতে পারেন। তবে ইউনিফর্ম পরে মাদক সেবনকারীরা পুলিশ সদস্য নন। এ ব্যাপারে প্রথম দিনই আমি সবাইকে সতর্ক করেছি। মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রাজশাহীর নতুন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক আজ শনিবার মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় রাজশাহী পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
গত বৃহস্পতিবার নতুন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহীতে যোগ দেন। তিনি জানান, ২০ বছর আগে রাজশাহীতে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষ। রাজশাহীতে ফিরতে পেরে তাঁর ভালো লাগছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজশাহী সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে মাদকের প্রবণতা বেশি রয়েছে। মাদক সেবন ও ব্যবসায়ের সঙ্গে পুলিশও জড়িত থাকতে পারে। মাদকের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হয়েছে।
আবু কালাম সিদ্দিক আরও বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরে যদি কেউ মাদক সেবন করেন বা মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন, এই পুলিশ দরকার নেই। প্রথম দিন এসেই আমি পুলিশ সদস্যদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তাঁরা এসব পথ পরিহার করে নতুন জীবন শুরু করবেন। এ কাজ করা না হলে এ বিভাগের কোথাও ঠাঁই হবে না। তাঁরা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন আর অনুরোধ নয়, প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের আইজিপি যেমন ঘোষণা দিয়েছেন, পুলিশের ইউনিফর্ম পরে যদি কেউ মাদক সেবন করেন, তাহলে তিনি পুলিশ সদস্য নন। রাজশাহীর নতুন পুলিশ কমিশনারও একই ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেন। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।
আবু কালাম সিদ্দিক জানান, শুক্রবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি রাজশাহী মেট্টোপলিটন এলাকা ডিজিটাল নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে চান এবং যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নয়নমুখী পুলিশ গড়ে তুলতে চান। রাজশাহীর মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে কমিউনিটি পুলিশের পাশাপাশি বিট পুলিশ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে, দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা। সেটা নিশ্চিত করা হবে।