২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ধানখেত থেকে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নারীর খণ্ডিত লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে চরজব্বার থানা–পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে চার টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে উত্তর জাহাজমারা গ্রামের মুরগির খাদ্য উৎপাদন কারখানা প্রভিডা ফিডের পেছনের একটি ধানখেত থেকে লাশের দুটি অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেছেন।

ওই নারীর নাম নুর জাহান বেগম (৪৩)। তিনি উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল বারেকের স্ত্রী। লাশের বাকি দুটি অংশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

আজ ভোরে নুর জাহান বেগম (৪৩) শামুক খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পাননি। প্রতিবেশী এক নারী বিকেলের দিকে ধানখেতের আইলে শামুক খুঁজতে গিয়ে একটি লাশের টুকরা দেখে চিৎকার দেন। এরপর খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, নুর জাহান বেগমের সঙ্গে করে নেওয়া শামুকের ব্যাগ লাশের খণ্ডের পাশে পড়ে আছে।

ঘটনাস্থলে থাকা চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীর খণ্ডিত লাশের দুটি অংশ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে একটি অংশ মাথার, আর অপরটি ঊরু থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। বাকি দুটি অংশ এখনো পাওয়া যায়নি। নিহত নারীর ছেলে হ‌ুমায়ূন কবির লাশটি তাঁর মা নুর জাহান বেগমের বলে শনাক্ত করেছেন।

পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, লাশের বাকি অংশ সন্ধ্যা পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে চার টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা কী কারণে ওই নারীকে খুন করতে পারে, তা পরিবারের সদস্যরাও এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে চার টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে লাশের দুটি অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি অংশ মাথার, আর অপরটি ঊরু থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। বাকি দুটি অংশ এখনো পাওয়া যায়নি।

নিহত নুর জাহান বেগমের ছেলে হ‌ুমায়ূন কবিরের (২৮) বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানান, হ‌ুমায়ূন তাঁদের জানিয়েছেন, আজ ভোরে তাঁর মা শামুক খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করে মায়ের কোনো সন্ধান পাননি। প্রতিবেশী এক নারী বিকেলের দিকে ধানখেতের আইলে শামুক খুঁজতে গিয়ে একটি লাশের টুকরা দেখে চিৎকার দেন। এরপর খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর মায়ের সঙ্গে করে নেওয়া শামুকের ব্যাগ লাশের খণ্ডের পাশে পড়ে আছে। যার মাধ্যমে লাশটি শনাক্ত করা হয়।

সুবর্ণচরের চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এক নারীর লাশের দুটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার করা অংশ দুটি আপাতত থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা ওই নারীকে হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।