ভেদরগঞ্জে প্রচারণায় হামলার অভিযোগ, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর স্ত্রীসহ আহত ১০
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণা আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামালার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবুল বাশারের স্ত্রী আফরিন মিতুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান হাওলাদার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবুল বাসার চোকদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে আবুল বাশারের স্ত্রী আফরিন মিতু কয়েকজন সমর্থক নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গৈড্ডা এলাকায় প্রচারণায় যান। সেখানে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অশ্রুল হাওলাদার, সহসভাপতি সাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা হয়। এ সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আইএনবির প্রতিবেদক আবু রায়হানকে লাঞ্ছিত করা হয়। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।
হামলায় আহত হয়েছেন আফরিন মিতু, হান্নান মুন্সি, ফয়সাল সরদার, শামীম চোকদার, নাছিমা আক্তার, পাখি আক্তার, রিজিয়া আক্তার, সুলতানা, নাছরিন আক্তার। এঁদের মধ্যে হান্নান মুন্সি ও ফয়সাল সরদারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবুল বাসারের স্ত্রী আফরিন মিতু বলেন, ‘আমরা প্রচারণায় গেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালায়। গালিগালাজ করে জীবননাশের হুমকি দেয়। মারধর করে এলাকা থেকে বের করে দেয়। তারা আমার গয়নাও ছিনিয়ে নিয়েছে।’
আবুর বাশার চোকদার বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নান হাওলাদার ও তাঁর সমর্থকেরা হুমকি দিচ্ছেন। প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন, মাইক ভাঙচুর করছেন। শুক্রবার প্রচারণায় হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, আবুল বাসার চোকদারের স্ত্রী বহিরাগত নারীদের নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলেন। তখন তাঁর সমর্থকেরা বাধা দেন। এ সময় তাঁরা আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ আলী সিকদারকে পিটিয়ে আহত করেছেন। তখনো তাঁর সমর্থকেরা তাঁদের হামলা করেননি। কোনো প্রার্থীর প্রচারণা কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম রশিদুল বারী প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন উপস্থিত ব্যক্তিরা হামলার কথা জানান। কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।