বিষখালী নদীর ডুবোচরে লঞ্চ আটকে দুর্ভোগে যাত্রীরা

বিষখালী নদীর ডুবোচরে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ আটকে যায়। শুক্রবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন চরপালট গুচ্ছগ্রাম এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীর ডুবোচরে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ আটকে পড়ে দুর্ভোগে পড়েন চার শতাধিক যাত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন চরপালট গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন নদীর ডুবোচরে লঞ্চটি আটকে যায়। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাচ্ছিল।

লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ ও শাহরুখ-২ নামে দুটি লঞ্চ পাল্লা দিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়ন চরপালট গুচ্ছগ্রাম এসে শাহরুখ-২ লঞ্চকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় অভিযান-১০ লঞ্চটি বিষখালী নদীর ডুবোচরে আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও লঞ্চটি সরানো যায়নি। পরে আজ শুক্রবার সকালে যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে নিজ নিজ খরচে গন্তব্যে চলে যান।

বিষখালী নদীর ডুবোচরে আটকে গেছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ অভিযান-১০। শুক্রবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন চরপালট গুচ্ছগ্রাম এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

অভিযান-১০–এর মাস্টার মো. মাসুদ আলম দাবি করেন, জোয়ারের পানিতে নদী ও চর একই রকম ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চটি ডুবোচরে উঠে যায়। যাত্রীদের ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়ে সকালে ট্রলার ভাড়া করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

তবে লঞ্চযাত্রী মনির হোসেন বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করছিল। পরে সকাল হলে যাত্রীরা যে যাঁর মতো করে নিজ নিজ খরচে তাঁদের গন্তব্যে চলে যান।


লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ডুবোচরে কোনো ধরনের সতর্কতামূলক সংকেত প্রদর্শন করেনি। ফলে জোয়ারের সময় অনেক নৌযান ওই চরে আটকে যাচ্ছে। লঞ্চটিতে প্রায় ৪৩৪ জন যাত্রী ছিলেন।