বাক্স খুলতেই ওসির দিকে ফণা তুলল বিষধর সাপ
মাদক থাকতে পারে সন্দেহে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন। কিন্তু চালক না থামিয়ে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি শুরু করে। গাড়ির ঢালা খুলতেই চোখে পড়ে সাতটি বাক্স।
একপর্যায়ে ওসি এগিয়ে আসেন এবং নিজ হাতে একটি বাক্স খোলেন। বাক্স খুলতেই একটি সাপ ওসির দিকে ফণা তোলে। বাক্সে ফেলে দিয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসেন ওসি। পরে বিশেষ কৌশলে সাপটি বাক্সবন্দী করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে ঢাকার বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর সেতু এলাকায়। সাপ পাচারের অভিযোগে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদ সাভারের আশুলিয়ার খেজুরটুক গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
সাপ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ঢাকার বন অধিদপ্তরের সরীসৃপবিদ মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, সাতটির মধ্যে চারটি খৈয়া গোখরা। সাপগুলো বিষধর। এগুলো জঙ্গলে থাকে। এই সাপের কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে। অপর তিনটির মধ্যে দুটি দাঁড়াশ, একটি পদ্ম গোখরা।
পুলিশ জানায়, জগন্নাপুর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ প্রায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবারও চালানো হয়েছে। গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। বাক্সে কী আছে, জানতে চাইলে চালক কিছু বলতে পারেননি। সেই কারণে সন্দেহ আরও বাড়ে। ওসি মোজাম্মেল হোসেন একটি বাক্স খুলতে যান। তখন ওসির দিকে ফণা তুলে একটি সাপ। এই ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় চালক মাসুদ রানাকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সাপগুলো পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বন্য প্রাণী হত্যা, নিজ হেফাজতে রাখা বা বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। চালককে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।