পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা। এ ছাড়া দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাসমোহন দাস (৪২) ও মো. রাব্বি (৩২) নামের দুজনকে আহত অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে রাব্বির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে চশমা প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন ওরফে লাভলুর ২০-২৫ জন কর্মী-সমর্থক কাফনের কাপড় পরে ওই কেন্দ্র যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালেহ উদ্দিন ওরফে পিকুর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চার থেকে পাঁচটি গুলিও ছোড়া হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক বলেন, কেন্দ্রে মারামারি হয়েছে। এ কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। তবে গুলি ছোড়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
এদিকে কনকদিয়া ইউনিয়নের হোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও নারায়ণ পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি চেয়ারম্যান পদের ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন
ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট তাড়িয়ে দেওয়া ও গোপনে নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগ তুলে বাউফল উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী হলেন শফিকুল ইসলাম (অটোরিকশা) ও মিজানুর রহমান ওরফে হিরণ (চশমা)। দুই প্রার্থী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে ভোট বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ শাহিন হাওলাদার।