বাংলাদেশে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক

স্মরণসভা ও শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে
প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে চোরাগলিপথে ক্ষমতায় আসতে নানা পাঁয়তারা করছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসতে হলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে জয়ী হয়েই আসতে হবে। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার—এ রকম কোনো কিছুই গঠিত হবে না।

আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খান বীর বিক্রমের স্মরণসভা ও শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, সংবিধানের আলোকে আগামী দিনে নির্বাচন হবে এবং সেটির দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশনের ওপরে সরকারের, প্রধানমন্ত্রীর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রভাব থাকবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো নিয়ন্ত্রণ সেখানে করতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী—সবকিছু স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহায়তা করা এবং সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সক্ষমতা এখন। তারা অনেক সুশৃঙ্খল, তারা অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছে। জঙ্গিদের মোকাবিলা করে সারা পৃথিবীতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রশংসা অর্জন করেছে। কাজেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহায়তা করা এবং সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। রাজনৈতিকভাবে যদি কোনো আন্দোলন আসে, তাহলে আমরা সেই আন্দোলনকে মোকাবিলা করব।’

জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ শাজাহান খান। আরও ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুল হক, কোষাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।