ফোন করতেই পুলিশ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিল
সন্তানসম্ভবা মেয়ে (২৩) প্রসববেদনায় কাতর। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে গাড়ি খুঁজছিলেন মা হোসনে আরা বেগম। কিন্তু করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশ মেনে রাস্তাঘাট সারা দিন এমনিতেই ফাঁকা, তার ওপর রাত তখন ১২টা।
অনেক চেষ্টা করেও তাই গাড়ি পাচ্ছিলেন না চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা ওই মা। পরে নিরুপায় হয়ে ফোন করেন বাকলিয়া থানার পুলিশের হটলাইন নম্বরে। বিষয়টি জানার পর থানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি। ওই গাড়িতে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান হোসনে আরা বেগম। গতকাল রোববার দিবাগত রাতের ঘটনা এটি।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, থানার হটলাইনে ফোন আসার পর দ্রুত পুলিশের গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে হোসনে আরা বেগমের মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রথম আলোয় ‘নিত্যপণ্য বাসায় পৌঁছে দেবে পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে পুলিশের বরাতে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজনে ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারসদাই চেয়ে কেউ ফোন করলে তা বাসায় পৌঁছে দেবে পুলিশ। সঙ্গে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজনে কেউ ফোন করলে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালেও পৌঁছে দেওয়ার কাজও করবে পুলিশই। ওই প্রতিবেদনে করোনার ঝুঁকি এড়াতে মানুষকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের হটলাইন নম্বর ও নগরের ১৬ থানার নম্বর দেওয়া হয়।
নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীসহ জরুরি প্রয়োজনে নগরের ১৬ থানার যেকেউ পুলিশের এই হোম সার্ভিস পাবেন। বিশেষ করে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাসায় পৌঁছে দেওয়া এবং অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবে পুলিশ।
নগর পুলিশের হটলাইন নম্বরে (০১৪০০৪০০৪০০) যোগাযোগ করে এই সেবা পাওয়া যাবে। নগরের ১৬টি থানা এলাকার নম্বরে যোগাযোগ করেও মিলবে সেবা। নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দারা ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করবেন। পাঁচলাইশ এলাকার ০১৭৬৯৬৯৫৬৭০, বায়েজিদ বোস্তামীর ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৮, খুলশীর ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৬, কোতোয়ালি ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৫, বাকলিয়া ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৭, চকবাজার ০১৭৬৯৬৯৫৬৭৯, সদরঘাট ০১৭৬৯৬৯৫৬৮০, ডবলমুরিং ০১৭৬৯৬৯৫৬৭১, হালিশহর ০১৭৬৯৬৯৫৬৭৩, পাহাড়তলী ০১৭৬৯৬৯৫৬৭২, আকবরশাহ ০১৭৬৯৬৯৫৬৭৮, বন্দর ০১৭৬৯০৫৮১৪৯, ইপিজেড ০১৭৬৯৬৯১১০৬, পতেঙ্গা ০১৭৬৯০৫৮১৫০ এবং কর্ণফুলী এলাকার বাসিন্দারা ০১৭৬৯০৫৮১৫১ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারেন।