প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেলেন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ
শীতে থরথর করে কাঁপছিলেন রাজিয়া বেগম (৬০)। ঝিনাইদহ শহরের কুরাপাড়া থেকে এসেছেন প্রথম আলো ট্রাস্টের শীতের কম্বল নিতে। কম্বল পেয়ে রাজিয়া বলেন, ‘বাবারা, অনেক ঘুরছি, কেউ একটা কম্বল দিল না। তোমরা খুঁজে এনে কম্বল হাতে দিলে। এই কম্বলে এবার শীত দূর হবে।’
শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ শহরে অসহায় ও শীতার্ত ২০০ নারী-পুরুষকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামেলি জোন সেন্টারে এসে কম্বল নিয়ে কাঞ্চনপুরের আয়েশা বেগম বলেন, এবার শীত খুব বেশি। এই বয়সে এত কষ্ট সহ্য করা যায় না। এত দিন শীতে অনেক কষ্ট করেছেন। কম্বলে শীতের কষ্ট লাঘব হবে।
শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ শহরে অসহায় ও শীতার্ত ২০০ নারী-পুরুষকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রথম আলো বন্ধুসভা ঝিনাইদহ শাখা কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে ঝিনাইদহ সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সুষেন্দু কুমার ভৌমিক, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান, শিক্ষক আলমগীর কবির, শাহনেওয়াজ মিঠু, বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, রবিউল ইসলাম, শাহীনূর আলম লিটন, বন্ধুসভার সভাপতি মোহাম্মদ আবু রেজা আল হাসান ইমাম, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবদুল ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বন্ধুসভার সোমাইয়া ইসলাম সুমি।
কম্বলের জন্য যে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে শীতের সকালে সবাই এসে উপস্থিত হতে পারেননি। তারপরও নির্ধারিত সময় কম্বল বিতরণ শুরু হয়। যাঁরা আসতে পারেননি, বন্ধুসভার সদস্যরা তাঁদের কম্বল পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শহরের পাগলাকানাই এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধ রাহেলা বেগম বলেন, ‘শীত আসলেই কষ্টের শেষ থাকে না। একটা কম্বলের জন্য মানুষের কাছে ছুটতে হয়। তোমরা আমাদের কাছে ছুটেছ কম্বলের কার্ড দিতে। সেই কার্ড দিয়ে আজ কম্বল পালাম। এইটা খুবই আনন্দের।’
এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুল আলোকিত পাঠশালায় কম্বল বিতরণ করা হয়। বিনা মূল্যে পাঠদান করা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুল আলম রিগ্যান। উপস্থিত ছিলেন চাপালী যুবসংঘের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, কালীগঞ্জ পৌরসভার কার্য সহকারী নজরুল ইসলাম, ইনজামুল হক প্রমুখ।
এ বছর শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে গত বুধবার পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ টাকা জমা পড়েছে। ত্রাণ তহবিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি জমা দিয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমে জমা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৩৯ টাকা। একই দিন পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে।