পাবনা পৌর নির্বাচন: আ.লীগের মেয়র প্রার্থীকে মানতে পারছে না দলের একাংশ
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না মনোনয়নবঞ্চিত নেতারাসহ অনেকে। তাঁরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আবদুল হামিদ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।
বেলা ১১টা থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ একে একে শহরে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা সমাবেশ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন থেকে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন চান। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এরপর থেকে দলের একাংশর নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ৩ জানুয়ারি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে জেলা যুবলীগের সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁরা মঙ্গলবার শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ একে একে শহরে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা সমাবেশ করেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্ব করেন। একই কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুল আহাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল হামিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত আলী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক আবদুল হান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্বাচনে দলের প্রায় ১২ জন নেতা মনোনয়ন চান। পরে তাঁদের ১০ জন শরীফ উদ্দিন প্রধানকে সমর্থন দিয়ে তাঁকে মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু জেলার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে আলী মুর্তজা বিশ্বাসের মনোনয়ন এনে দেন। এতে দলের ত্যাগী ও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম বলেন, ‘দলের মধ্যে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। আশা করছি, দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ডেকে সমস্যার সমাধান করবেন।’