পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে সিলেট বিভাগে কাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট

অপরিকল্পিতভাবে পাথর তোলায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে দুর্ঘটনার পরের ছবি
প্রথম আলো

সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট কাল মঙ্গলবার সকালে শুরু হচ্ছে। বৃহত্তর সিলেট পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমর্থনে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিকসংগঠন এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে ধর্মঘটের সর্বশেষ প্রস্তুতির সভা করেছে। সভা শেষে সন্ধ্যায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। ধর্মঘটে সিলেট বিভাগের বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কোচ, লেগুনা, ট্যাংকলরি, সিএনজিসহ সব গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশযাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র ও জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়ি ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পাথর আহরণ, বিক্রয়, বিপণনসহ এই খাতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারকে নিয়ে গঠিত হয় বৃহত্তর সিলেট পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পাথর কোয়ারিগুলো থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের অনুমতির দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। ৩ ডিসেম্বর সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এতে কোনো সাড়া না পেয়ে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় ৯ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় পণ্যবাহী পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করা হয়। এ কর্মসূচি পালনের পর দাবি আদায় না হওয়ায় সিলেট বিভাগে গণপরিবহনে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।

ধর্মঘট পালনের জন্য সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের পরিবহনশ্রমিক ও ব্যবসায়ীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল এবং বিভাগীয় শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার। তাঁরা বলেছেন, পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে ও ১০ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা অনুযায়ী ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালনের পর দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাকা দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।