পরিবারে সচ্ছলতা আনার আশায় সৌদিতে গিয়ে লাশ হলেন আক্তার
দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আক্তার মিয়া ছিলেন দ্বিতীয়। পরিবারের সচ্ছলতা ও সুখের কথা ভেবে আক্তার দুই মাস আগে দ্বিতীয়বারের মতো গিয়েছিলেন প্রবাসে। সৌদি আরবের রিয়াদে দুই মাস না যেতেই জীবন প্রদীপ নিভে গেল আক্তারের। গত ৬ জানুয়ারি এক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ গেল আক্তারের। এতে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে গোটা পরিবারের। হঠাৎ আক্তারের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোক।
আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের কৃষক চন্দু মিয়ার ছেলে। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও সৌদিতে অবস্থানকারী স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো কাতার যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আক্তারের প্রবাস জীবন। সেখানে থাকেন ছয় বছর। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে আক্তার আবার চলে যান সৌদি আরবের রিয়াদে। সেখানে ছোট ভাই মোস্তাক মিয়াসহ নিজ গ্রামের সমবয়সীদের সঙ্গে ভালোই চলছিল তাঁর প্রবাস জীবন।
‘আলতাহালু’ নামের একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন আক্তার। অন্যান্য দিনের মতো গত রোববার সকালে কাজে যান তিনি। কাজের ফাঁকে চা নিয়ে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাস আক্তারের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্তার। ঘটনার পর মাইক্রোবাসের চালক ইয়েমেনের নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি পুলিশ। রিয়াদেই গতকাল মঙ্গলবার হয়েছে আক্তারের দাফন।
পরিবারের লোকজন বলেন, আক্তার এখনো বিয়ে করেননি। রোজগার আরেকটু ভালো করে বিয়ে করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। সৌদি আরবে কয়েক বছর থেকে দেশে ফিরে বিয়ের চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন আক্তার।