নারায়ণগঞ্জে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ২৩ জন। কয়েক দিন ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্ক থেকে দুই অঙ্কে উঠেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে লোকজনের উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। এদিকে জেলায় করোনার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন ৯৫ হাজার ৫৪৩ জন।
জেলা করোনা ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১০ দিন ধরে সংক্রমণের সংখ্যা একটু ঊর্ধ্বমুখী। আগে সংক্রমণের সংখ্যা এক অঙ্কে থাকলেও সেটি এখন দুই অঙ্কে উঠে গেছে। লোকজন মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছে। ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ২৩ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৬। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩০ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই চিকিৎসকসহ মারা গেছেন ১৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ২৩ জন। কয়েক দিন ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্ক থেকে দুই অঙ্কে উঠেছে।
জেলায় করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯৫ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে সিটিতে রয়েছেন ৩১ হাজার ৮০১ জন, সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৫৭৩ জন, বন্দর উপজেলায় ৭ হাজার ৯৮৫ জন, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার ৭৩৭ জন, আড়াইহাজার উপজেলায় ৬ হাজার ৬৫৬ জন ও সোনারগাঁ উপজেলায় ১১ হাজার ৭৯১ জন রয়েছেন।
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। ওই দিন শনাক্ত হওয়া তিন রোগীর দুজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। নতুন করে আবার সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার টিকা গ্রহণের পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানুষের মধ্যে গা ছাড়া ভাব রয়েছে। টিকা কার্যক্রম বিষয়ে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ আমরা সবাই মিলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কার্যক্রম চালাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, অনেকে টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি আর মানছেন না। সবার সহযোগিতায় সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।