দৌলতখান পৌর বিএনপির বিরুদ্ধে মনোনয়ন–বাণিজ্যের অভিযোগ
ভোলার দৌলতখান পৌরসভা বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীর ক্রয় করা দলীয় ফরম সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যক্তি মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে একক প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, তৃণমূলে যাঁর উপস্থিতি শূন্য।
শনিবার রাত নয়টার দিকে ভোলা শহরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. ফখরুল আলম। তবে পৌরসভা বিএনপি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দৌলতখান উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর-প্যানেল মেয়র ফখরুল আলম বলেন, তিনি আসন্ন ৩০ জানুয়ারির পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদের মতো তিনিও দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। দৌলতখান পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামাল কারসাজি করে তাঁর ফরমটি সরিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জমা দেন, যা প্রতারণার শামিল। তাঁরা আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এই মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন। এই ঘটনার বিচার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
ফখরুল আলম আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন এলাকায় থাকেন না। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। আর দৌলতখানে এসে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। তাঁর পক্ষে কোনো ভোট নেই।
এ বিষয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে নদীভাঙনের কারণে দৌলতখান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি পদে আছেন। উপজেলা বিএনপিতে কার্যকর ভূমিকা থাকার কারণেই তৃণমূল নেতারা তাঁর পক্ষে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বশার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ মো. জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সহসভাপতি মো. নাগর মিয়া প্রমুখ।