দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান।
এদিকে ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। সকাল ১০টার দিকে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদ উল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মো. আলাউদ্দিন।
এ ঘটনার পর ঝাউতলা এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে রেখেছেন মাহমুদুরের সমর্থকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসেপ স্কুল, ঝাউতলা ওয়্যারলেস স্কুল ও পাহাড়তলি কলেজ কেন্দ্র তিনটিতে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া চলছে।
এই ওয়ার্ডের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই ওয়াসিম উদ্দিনের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। মধ্যরাত থেকে সন্ত্রাসীরা এখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।’ তিনি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, নিহত আলাউদ্দিন তাঁর দলের সমর্থক।
ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের ভেতর ভোট চলছে। বাইরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯৯২ ভোট রয়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে কিছু ঝামেলা হয়েছে। কেন্দ্রের ভোটার সব নারী। ঝামেলা হলেও ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়নি।