থানার ওসিরা বিনা ভোটের সাংসদদের পাত্তা দেন না

নাগরিক ঐক্যের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নাগরবন্দর এলাকায়
প্রথম আলো

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পুলিশ ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে। এ কারণে থানার ওসিরা বিনা ভোটের সাংসদদের পাত্তাও দেন না, সম্মানও করেন না। আগে সাংসদেরা থানায় গেলে ওসিরা দাঁড়াত, এখন ওসিরা এই সব বিনা ভোটের এমপিদের দেখে দাঁড়ান না।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নাগরবন্দর মোড়ে নাগরিক ঐক্যের এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

মাহমুদুর রহমান বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে ভোট শুরুর পরপরই ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন বর্জন করেন মাহমুদুর রহমান।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা ভোট দেন একজনকে, জিতে আরেকজন। ভোট পায় একজন, জিতে আরেকজন। আবারও ভোট হবে। ভোট হবে ঠিকই। জনগণ যাকে ভোট দিতে চায়, তিনি জিতবেন কি? মানুষ ভোট দেবে একজনকে, জিতে যাবে আরেকজন।’ আর ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হলে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। প্রয়োজনে রাজপথে নামতে হবে। দিন আসছে। আর ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের গলায় গামছা লাগানো হবে।’

বিদেশে অর্থপাচারের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশের টাকা আর দেশে নেই। সব বিদেশের ব্যাংকে। কানাডায় শহর হয়েছে, বেগমপাড়া। মন্ত্রী-এমপি, নেতাদের বেগমেরা জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। বড় বড় আমলারাও বাড়ি করেছেন। বছরে এক লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বিদেশি ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছেন, সরকার সবই জানে। অথচ সেই টাকা ফেরত আনতে পারেনি। কারও বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারেনি।

শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর নাগরিক ঐক্যের নেতা আনিছুর রহমান, সাকিব আনোয়ার, উপজেলা নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ, এনামুল হক প্রমুখ।