ঝালকাঠি থেকে ১০ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র

পিরোজপুরে বাস ও মিনিবাস শ্রমিকদের সঙ্গে বিআরটিসির বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষের জেরে ১০টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে ঝালকাঠি বাস–মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার রাতে পিরোজপুর ও ভান্ডারিয়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ কারণে আজ রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পাথরঘাটা, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া ও আমুয়াসহ ১০ রুটে বাস বন্ধ রেখেছে ঝালকাঠি বাস–মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। আকস্মিকভাবে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় ভোগান্তিতে পড়েছে এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, আকস্মিক বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় যাত্রীরা বিপাকে পড়ে। অনেকেই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও ম্যাজিক গাড়িতে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। যাত্রীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

ঝালকাঠি সদরের বাউকাঠি এলাকার মজিবর রহমান খুলনায় চিকিৎসার জন্য জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন বাস বন্ধ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাস মালিক সমিতি প্রায়ই নিজেদের স্বার্থে বাস চলাচল বন্ধ রেখে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলেন। আমরা এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই।’

ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পিরোজপুর বাস ও মিনিবাস শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। প্রশাসন অবৈধ বিআরটিসি চলাচলের বিষয়ে কোনো সমাধান না দিলে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’

ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘১০টি রুটে অনুমোদন ছাড়াই তিন গুণ বিআরটিসি বাস চলাচল করে। অবৈধভাবে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ না করা হলে আমাদের বাস চলবে না।’