ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কায় শিকারের পরেই ২৩টি বক হত্যা
চলনবিলে শিকার করা বক উদ্ধার করে প্রশাসন যেন ছেড়ে দিতে না পারে, সে জন্য ধরার পরেই ২৩টি বক জবাই করে ব্যাগে ভরে রেখেছিলেন দুই শিকারি। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের অভিযানে ওই দুই শিকারি ধরা পড়লেও বকগুলো রক্ষা করা যায়নি। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই শিকারিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে মারা যাওয়া বকগুলো।
আজ বুধবার সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম লক্ষ্মীপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, বুধবার সকালে খবর পেয়ে চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা কলম লক্ষ্মীপুর মাঠে গিয়ে মো. আসাদুল ওরফে শাওন ও সোহরাব হোসেন নামের দুই পাখি শিকারিকে হাতেনাতে আটক করেন। তাঁদের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। আটকের সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি শিকারি বকসহ জবাই করা ২৩টি বক উদ্ধার করা হয়।
এরপর সিংড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রকিবুল হাসান সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অবৈধভাবে পাখি শিকারের দায়ে আদালত ওই শিকারিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। ভবিষ্যতে আর পাখি শিকার করবেন না মর্মে তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে উদ্ধার করা জীবিত দুটি বক ছেড়ে দেওয়া হয় এবং জবাই করা ২৩টি বক মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। পাখি শিকারের ফাঁদ তাৎক্ষণিক ধ্বংস করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হক, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন চলনবিলে পানি কমতে থাকায় অসংখ্য পাখি আসতে শুরু করেছে। এ কারণে শিকারিদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তারা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পাখি শিকার করছে। শিকার করা পাখি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কায় ধরার পরপরই পাখি জবাই করা হচ্ছে।