খুলনার রূপসায় দুর্বৃত্তদের হামলা, মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুর
খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে মন্দির, বেশ কিছু দোকান ও একটি বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শতাধিক দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই গ্রামে উপস্থিত হন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শতাধিক যুবক রামদা, চাপাতি, কুড়াল নিয়ে শিয়ালি গ্রামে হামলা চালান। তাঁরা অতর্কিতভাবে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় শিবপদ ধরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। তারা সেখানকার কয়েকটি মন্দিরেও ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন বাধা দিতে এলে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। এলাকাবাসী প্রতিরোধ তৈরি করার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিয়ালি গ্রামের এক বখাটে যুবক এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি পাশের চাঁদপুর গ্রামের যুবকদের উসকানি দিয়ে ভাঙচুরে যুক্ত করেছে।
রূপসা থানা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বলেন, শেয়ালি বাজারের বেশ কিছু দোকান, বাড়িসহ ছয়টি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তিনি শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আছি। জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।’ পরে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেন তিনি।
ঘাটভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধন অধিকারী প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সুপার, ইউএনওসহ সবাই মিলে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। সঠিক তদন্ত না করে কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটা এই মূহূর্তে বলা ঠিক হবে না।
খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না হতে পারে, সে জন্য পুলিশ খুব তৎপর আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।