মহাসড়কের পাশে দোকান নির্মাণ বন্ধ করে দিল প্রশাসন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকান নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল শহীদনগর ট্রমা সেন্টারের সামনে গিয়ে এ পদক্ষেপ নেন দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, সওজের জায়গায় অনুমতি ছাড়া দোকান নির্মাণের সুযোগ নেই। গত শুক্রবার ওই স্থানে দোকান নির্মাণ না করতে সওজ, দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসন ও দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা অমান্য করে হারুন অর রশিদ নামের স্থানীয় চাঁদগাঁও গ্রামের এক পল্লিচিকিৎসক দোকান নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্মাণকাজটি বন্ধ করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লিচিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, দোকান নির্মাণের জায়গাটি দখল সূত্রে মালিক তিনি। নিচের অংশে পাকা স্থাপনা করে আপাতত দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের সংস্কারকাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতেও কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় শহীদনগর ট্রমা সেন্টার–সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন তালুকদারের সঙ্গে। তাঁর পরিবারের ভাষ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শহীদনগর ট্রমা সেন্টারসহ আশপাশের জায়গাগুলো তাদের পূর্বপুরুষের ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে জায়গাগুলো সরকারের প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৫-০৬ সালে সেখানে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়। আর ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ট্রমা সেন্টারের সামনের অংশে ২০ ফুটের বেশি জায়গা সওজের। এমন জায়গায় মহাসড়কের গা ঘেঁষে দোকান নির্মাণের বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন সালাহ উদ্দিনসহ স্থানীয় অনেকেই।
চাঁদগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহীন ভূঁইয়া ও আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এভাবে দোকান নির্মাণ করা কোনোভাবেই ঠিক নয়। এতে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। অন্তত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও এ কাজ বন্ধ করা উচিত।