কাপাসিয়ার আমরাইদ বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হবে ঘাস

গ্রামের খামারিরা ঘাস বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ বাজারে।ছবি: প্রথম আলো

গ্রামের খামারিরা তাঁদের উৎপাদিত নেপিয়ার পারচং-১ জাতের উন্নত ঘাস বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান পেয়েছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ বাজারে এখন প্রতিদিন বিক্রি হবে ঘাস। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বাজারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।


সমতলভূমিতে থাকা অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবনমানের উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও স্থানীয় সাংসদ সিমিন হোসেনের পরিকল্পনায় বাজার ব্যবস্থাপনা করছে কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। বৃহস্পতিবার বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ। এ দিন থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বাজার চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।


আমরাইদ গ্রামের বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘাস বিক্রির বাজার শুরু হওয়ায় অনেকেই গরুকে অন্য খাবারের বিকল্প হিসেবে ঘাস খাওয়াবে। মমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে অনেক খামারি নিজের বাড়িতে ঘাস উৎপাদন করেন। নিজের গরুকে খাওয়ানোর পর অতিরিক্ত ঘাস এখন এই বাজারে বিক্রি করা যাবে। বাজারে পাঁচ টাকা কেজিতে ঘাস পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, গাজীপুরে এই প্রথম ঘাসের বাজার শুরু হলো। এতে ঘাস উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি হবে। ঘাসের ওপর খামারিদের নির্ভরতা বাড়বে।


কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মিয়া বলেন, এলাকায় দেড় হাজারের বেশি খামারি ঘাস উৎপাদন করেন। সাত বছর ধরে কাপাসিয়ায় নেপিয়ার ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। ঘাসের বাজার শুরু হওয়ার মাধ্যমে খামারিদের আয়ের নতুন পথ খুলল।


সাংসদ সিমিন হোসেন বলেন, গরু মোটাতাজাকরণে ঘাসের চেয়ে নিরাপদ বিকল্প কিছু নেই। গরুকে ঘাস খাওয়াতে হবে। অন্যথায় এর বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে। প্রাকৃতিকভাবে যে খাবার গরু খায়, সে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সে জন্য নেপিয়ার পারচং-১ ঘাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।