সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ থেকে ২৩ মেগাওয়াট কম। এতে এক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও অন্য একটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে মেরামতের কাজ চলছে। পুড়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ পরিবর্তন ও সংস্কার করে শুক্রবারের মধ্যে সিলেটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট (বিক্রয় ও বিতরণ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন।
গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ ও সিলেটের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এরপর গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ৩১ ঘণ্টা পর সিলেটের আরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় আরও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট নগরসহ আশপাশের আরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বিউবো সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগরী এলাকায় বিভিন্ন ফিডারের আওতায় ১০০ থেকে ১০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এর মধ্যে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুড়ে যাওয়া যন্ত্রাংশের কারণে বাকি ২০ থেকে ২৩ মেগাওয়াট সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ জন্য মেরামতকাজ চলছে। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে মেরামতকাজ শেষ হলে স্বাভাবিক হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বিউবো সিলেট (বিক্রয় ও বিতরণ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন ফিডারের আওতায় থাকা গ্রাহকদের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সব এলাকার গ্রাহকেরা যাতে বিদ্যুৎ পান, সে জন্য ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বণ্টন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেসব এলাকায়ও বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। দুপুরের পর থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।