এক্স-রে বিকল ৬ বছর,নতুন যন্ত্র বাক্সবন্দী

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে খরচ হয় প্রায় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ছয় মাস ধরে পড়ে আছে বাক্সবন্দী এক্স-রে মেশিন। সম্প্রতি নাটোরের বাগাতিপাড়ায়।
প্রথম আলো

কার্যাদেশ দেওয়ার দেড় বছর পরেও নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন প্রতিস্থাপন করা হয়নি। এর মাঝে ছয় মাস আগে নতুন এক্স-রে মেশিন এলেও তা বাক্সবন্দী হয়ে আছে, আর পুরোনো যন্ত্রটি বিকল হয়ে আছে ছয় বছর ধরে।

যন্ত্র বিকল হওয়া এবং নতুন যন্ত্র প্রতিস্থাপনে দীর্ঘসূত্রতার কারণে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের এক্স-রে করাতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। এতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. তুহিন জানিয়েছেন, অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে নতুন যন্ত্রটি প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে না।

বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, পুরোনো এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার ও জাইকার সহযোগিতায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক এক্স-রে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা পরিষদ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পরিষদের পক্ষ থেকে নতুন যন্ত্র কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়। নাটোরের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রটি সরবরাহের কার্যাদেশ পায়।

২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি কার্যাদেশ পাওয়ার ১৩ মাস পর চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে খরচ হয় প্রায় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

উপজেলার দয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাবিকুন নাহার বলেন, তিনি পায়ে আঘাত পেয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এক্স-রে করার সুযোগ নেই। পরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। জিগরী গ্রামের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নতুন এক্স-রে যন্ত্রটি একটি শৌচাগারের সামনে কাঠের খাঁচায় পড়ে থাকতে দেখেছেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, নতুন এক্স-রে যন্ত্রটি প্রতিস্থাপনের জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ পর্যায়ে। কিছুদিনের মধ্যে যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে তা স্থাপন করার জন্য বলা হবে।