একটি জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পেতেন ২ হাজার ইউরো
জাল পাসপোর্ট, ভিসা, অ্যাম্বুস সিল তৈরির মেশিনসহ সিলেট থেকে মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য দেন। আটক ব্যক্তির নাম মাছুম আহমেদ (৩১)। তিনি সিলেট মহানগরের মজুমদারপাড়ার আতাউর রহমানের ছেলে।
আজ সকাল সাতটার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল সিলেটে মাছুমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে জাল পাসপোর্টের ফটোকপি, তুরস্কের জাল ভিসায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুস সিল তৈরির মেশিনসহ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
র্যাব হেফাজতে মাছুম বলেন, দেশ ও অন্য আরও কয়েকটি দেশের লোকজন নিয়ে তাঁর চক্র। মানব পাচারের পাশাপাশি জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি থেকে অনেক টাকা আয় হতো তাঁর। একটি জাল পাসপোর্ট কিংবা ভিসা তৈরির মাধ্যমে অন্তত দুই হাজার ইউরো পেতেন। চক্রের অন্য সদস্যরা ওই টাকার ভাগ পেতেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও স্কোয়াড কমান্ডার বেলায়েত হোসাইন।
র্যাব জানায়, মাছুম ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আফ্রিকার বেনিন শহরে যান। সেখানে গিয়ে জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। চক্রটি বাংলাদেশ, তুরস্ক, ক্যামেরুনে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশের নকল পাসপোর্ট তৈরি করে আসছে। তবে চক্রটি ইউরোপ ও ইসরায়েলের পাসপোর্ট বেশি বানাত। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ভিসার নকল স্টিকার বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
গেল বছরের আগস্টে দেশে ফেরেন মাছুম। এসেই নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় ফিলিস্তিন দূতাবাস থেকে মাছুমের বিরুদ্ধে মানব পাচারের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আসে। এরপর থেকে সংস্থাটি তদন্ত শুরু করে অভিযোগের সত্যতা পান।
গেল বছরের আগস্টে দেশে ফেরেন মাছুম। এসেই নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় ফিলিস্তিন দূতাবাস থেকে মাছুমের বিরুদ্ধে মানব পাচারের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আসে। এরপর থেকে সংস্থাটি তদন্ত শুরু করে অভিযোগের সত্যতা পান।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, মাছুম মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য। ভুয়া পাসপোর্ট, ভিসাসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির যন্ত্রাংশ রয়েছে তাঁর। মাছুমের মাধ্যমে চক্রের অন্য সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।