একই স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগের সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা, ৪ নেতা পুলিশ হেফাজতে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একই স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এটি জারি করে জেলা প্রশাসন। এর আগে বিএনপির চার নেতাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, অনুমতি ছাড়া সমাবেশের ডাক দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার, সেন্টারসংলগ্ন খালি জায়গা ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা দুইটায় শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনের খালি জায়গায় সমাবেশ ডাকে দলটি। একই স্থানে বেলা তিনটায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, মুজিব বর্ষ, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার, সেন্টারসংলগ্ন খালি জায়গা এবং সমগ্র পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এ সময় কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন বা রাজনৈতিক দল গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ-মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা ইত্যাদি কার্যক্রম করতে পারবে না। যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে চারজনের বেশি ব্যক্তি জমায়েত হতে পারবে না।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা ও পৌর বিএনপির চার নেতাকে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ওই চারজন হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মিজানুর রহমান। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চার নেতা পুলিশি হেফাজতে আছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ চারজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসেই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলিমুল হকের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।