২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইন নিতে বাধা দেওয়ায় মারধর

আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাঁরা স্ত্রী ও ছেলেও মারধরের শিকার হন।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ব্যক্তির বসতঘরের চালের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন নেওয়ার সময় বাধা প্রদান করলে ওই ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাঁরা স্ত্রী ও ছেলেও মারধরের শিকার হন। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন হীরা মিয়া (৫২), তাঁর স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪০) ও ছেলে লিমন মিয়া (২৬)। তাঁরা বর্তমানে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, হীরা মিয়ার দুই প্রতিবেশী মোশতাক আলী ও শিপন মিয়া নিজেদের বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ নেওয়ার জন্য হীরা মিয়ার বসতঘরের চালের ওপর দিয়ে তার নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে হীরা বাধা দেন। এ নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে মোশতাক আলী ও শিপন মিয়া এবং তাঁদের পক্ষের লোকজন হীরা মিয়ার ওপর হামলা করে তাঁকে বেদম মারধর শুরু করেন। এ সময় হীরা মিয়ার আর্তচিৎকার শুনে স্ত্রী পারভীন ও ছেলে লিমন মিয়া ছুটে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা চলে যান।

আহত ব্যক্তিদের এক স্বজন বলেন, কারও বসতঘরের চালের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন নিতে গেলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধে বাধা দিতেই পারে। তাই বলে কাউকে মারধর করে জোরপূর্বক লাইন টানা কতখানি যুক্তিসংগত?

মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশতাক মিয়া বলেন, তাঁরা নিজেদের জমিতে একটি খুঁটি পুঁতে একাধিক বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ নিচ্ছিলেন। হীরা মিয়া বাধা দিলে অনেকটা ঘুরিয়ে খুঁটিতে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্থাপনের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। তারপরও হীরা মিয়া বাধা দিলে দুই পক্ষের ব্যক্তিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় হীরার লোকজন তাঁদেরও মারধর করেছেন।

ঈশ্বরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম-বাণিজ্য) নাজিম আহমেদ বলেন, বালিহাটা গ্রামে বিদ্যুতের লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে লাইন টানাতে বাধাদান বা মারধরের ঘটনা সম্পর্কে তাঁর দপ্তর অবহিত নয়। এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।