‘ইভিএমে বোতাম টিপে দিচ্ছেন নৌকার লোকজন’
লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গোপন বুথে অবস্থান করা নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাহেদ আলীর সঙ্গে নৌকার এজেন্টের বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে এ ঘটনা ঘটে।
নৌকার এজেন্ট বেলাল হোসেন ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির প্রার্থী এসে বিষয়টি দেখতে পান। পরে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
এ কেন্দ্রে দেখা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আবদুল্লাহ সঙ্গে। নৌকার এজেন্ট গোপন বুথে অবস্থান করে ইভিএমে তাঁদের প্রতীকে ভোট দেওয়ায় তিনি উত্তেজিত হয় কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নয়টা পর্যন্ত তিনি পাঁচ কেন্দ্রে ঘুরেছেন। সব কটি কেন্দ্রে গোপন বুথে নৌকার এজেন্টদের অবস্থান করতে দেখেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, ‘সাধারণ ভোটার ভোট দিতে যাচ্ছেন, কিন্তু গোপন কক্ষে ইভিএমে বোতাম টিপে দিচ্ছেন নৌকার লোকজন। এটি ন্যক্কারজনক ভোট।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট বেলাল হোসেন নৌকা প্রতীকে টিপে ভোট দিচ্ছেন। আমি দেখতে পেয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আর তাঁকে এসব অপকর্ম না করার জন্য বলেছি।’
তবে বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁকে সহযোগিতার জন্য আমি গোপন কক্ষে গিয়েছি।’
সকাল আটটা থেকেই ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কিছু কেন্দ্রে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা গোপন বুথে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ চতুর্থ ধাপে চলছে রামগতি পৌরসভা নির্বাচন। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে এ ভোট গ্রহণ।
মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা ও শঙ্কা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জনি চন্দ্র দাস জানান, বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে তিনি বুথগুলো ঘুরে দেখেছেন। বুথের ভেতরে কোনো এজেন্টকে না ঢুকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গোপন কক্ষে কোনো এজেন্ট থাকার কথা না। বিএনপির প্রার্থী মিথ্যাচার করছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। খারাপ কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।