সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়কের বাড়িতে আনন্দ উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ
নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল খেলায় শেষ বাঁশি বাজার পর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া মহল্লার একটি বাড়ির সদস্যরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। বাড়িটি চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মো. আশরাফুল হকের (আসিফ)। পরে সেই উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে শহর ও গ্রামগঞ্জের ক্রীড়ামোদী মানুষের মধ্যে। দেশের বিজয়ের সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর ব্যস্ত লোকজনের অনেককে টিভিতে চোখ রাখতে দেখা যায়। অনেকে মিষ্টি খেয়ে ও খাইয়ে বিজয় উদ্যাপন করেন।
মুঠোফোনে আশরাফুলের মা মমতাজ বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ছেলে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে তাঁর বিশ্বাস ছিল। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছে ছেলে ও তাঁর দলের সদস্যরা। দলের প্রত্যেক সদস্যের মায়ের মতো তিনিও অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ছেলের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া মহল্লার আবু তালেবের ছেলে আশরাফুল হক। তাঁর মা মমতাজ বেগম পৌরসভার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। আশরাফুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ছেন।
মমতাজ বেগম জানান, খেলা শেষে তাঁর ছেলে হোটেলে ফিরে গিয়ে ভিডিওকলে তাঁর (মা) সঙ্গে কথা বলেছে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দলের ট্রফিটি তাঁকে দেখিয়েছে। ছেলে ও দলের সদস্যদের হাসিমুখ দেখতে পেয়ে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো মনে করবেন দল জিতেছে বলে ছেলের প্রশংসা করছি; তা কিন্তু নয়। ফুটবলের প্রতি আশরাফুলের সখ্য এতটাই যে সব ধরনের শখ-আহ্লাদ ত্যাগ করে ফুটবলের পেছনে পড়ে থাকত।’
আশরাফুল হকের বড় ভাই আরিফুল হক বলেন, বাংলাদেশ দলের জয়ের সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই তাঁদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েছেন। তিনিও মহল্লাবাসীকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। দেশের হয়ে সে বড় একটি স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে কী অবদান রাখতে পারে, সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার শুরু থেকেই সাফ অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবল খেলার দিকে নজর রাখছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দল সেমিফাইনাল পেরোনোর পর তিনি আশান্বিত ছিলেন। তাঁর সেই আশা বাস্তবে পরিণত করেছে বাংলাদেশ দল। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দলের অধিনায়ক আশরাফুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।