সিলেটে অবরোধের সমর্থনে মশালমিছিল, যানবাহনে আগুন
অবরোধের সমর্থনে সিলেটে মশালমিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নগরের সুবিদবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকার দিক থেকে অবরোধের সমর্থনে একটি মশালমিছিল আসে। মিছিলটি সুবিদবাজার মোড় এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পাঠানটুলা এলাকার দিক থেকে আম্বরখানাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এ সময় পথচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ ছাড়া সড়কে চলাচল করা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও অন্যান্য যানবাহন জেল রোড সড়কের দিকে না গিয়ে ঘুরিয়ে অন্যদিকে চলে যায়।
সুবিদবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জুনেদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ একদল যুবক মশাল জ্বালিয়ে মিছিল নিয়ে আসে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তায় চলাচল করা যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তিনি নিজে আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আফসর খান প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধের সমর্থনে সুবিদবাজার এলাকায় তাঁদের একটি কর্মসূচি ছিল। তিনিসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সুবিদবাজার এলাকায় মশালমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে তিনিসহ নেতারা সেখান থেকে চলে আসেন। এ সময় সেখানে যানবাহন ভাঙচুর বা আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা চলে আসার পর ওই এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন।
বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে আফসর খান বলেন, নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর এ ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে সরকারি দলের লোকজন এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। সুবিদবাজারের ঘটনাও তেমন ষড়যন্ত্র।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নাশকতার খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।