পায়ের ছাপ দেখে ট্যাংকের মুখ খুলতেই পাওয়া গেল গৃহবধূর লাশ
ফরিদপুরের সদরপুরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী এলাকায় বাছারডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম রাবেয়া বাছার ওরফে রঙ্গ (৩২)। তিনি ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী এলাকায় মৃত রাজন বাছারের মেয়ে এবং মাদারীপুর উপজেলার শিবচর এলাকার মো. হাবুল বেপারির দ্বিতীয় স্ত্রী। এটি রাবেয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর রাবেয়া স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। রাবেয়া একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর স্বামী হাবুল বেপারি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ১০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে রাবেয়ার বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে এক ছেলে (৮) ও এক মেয়ের (৪) রয়েছে।
রাবেয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাবেয়া কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিস মিলছিল না তাঁর। আজ ঘরের পেছনের সেপটিক ট্যাংকের পাশে অনেকগুলো পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে ট্যাংকের মুখ খুলতেই রাবেয়ার লাশ দেখতে পান স্বজনেরা।
পরে পরিবারের সদস্যরা সদরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও রাবেয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাবুল বেপারির সঙ্গে রাবেয়ার প্রায়ই ঝগড়া হতো। রাবেয়ার স্বজনদের ধারণা, পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে রাবেয়াকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে স্লাব দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন তাঁর স্বামী। স্বামী হাবুল বেপারি শুক্রবার সকাল থেকে পলাতক। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের লোকজন রাবেয়া ও তাঁর স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে ১১ আগস্ট সদরপুর থানাকে মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়েছে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি নিহত গৃহবধূর স্বামী হাবুলকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।