পঞ্চগড়ে রান্নাঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল মায়ের লাশ, ছেলে আটক
পঞ্চগড়ে রান্নাঘরের মেঝে থেকে সালেহা বেগম (৭৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হত্যার অভিযোগে তাঁর ছেলে রুস্তম আলীকে (৫০) আটক করছে পুলিশ। তাঁরা মা-ছেলে দুজনই মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুটকিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীকে অন্তত দুই দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর-ই-আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সালেহা বেগম তাঁর ছেলে রুস্তমকে নিয়ে বসবাস করতেন। রুস্তম আলী প্রায় ১৫ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সালেহা বেগম নিজেও কিছুটা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। রুস্তম আলী মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাঁর স্ত্রী চার ছেলেকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। রুস্তমের বৃদ্ধা মা মানুষের কাছে হাত পেতে রুস্তমকে খাওয়াতেন। মাঝেমধ্যে খাবার দিতে দেরি হলে মাকে মারধর করতেন রুস্তম। গত বুধবার থেকে সালেহা বেগমকে বাড়ির বাইরে দেখছিলেন না স্থানীয় লোকজন। আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে রান্নাঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত (মৃত) অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর-ই-আলম আরও বলেন, রুস্তম আলী তাঁর মাকে মেরে ফেলেছেন বলে সবার সামনে স্বীকার করেছেন। এমনকি মায়ের কুলখানির জন্য তিনি বাজার থেকে মাংসও কিনে এনেছেন বলে জানান। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত এবং পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই নারীর ছেলে রুস্তম আলীকে আটক করা হয়েছে।