নেত্রকোনায় ভুয়া ভূমিহীন সার্টিফিকেট দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত
ভুয়া ভূমিহীন সনদ দেওয়ার অভিযোগে নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরখাস্তের বিষয়টি জানা যায়।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা মৌজায় ১৭ একর খাসজমি স্থানীয় ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মদন উপজেলা প্রশাসন। এলাকার ভূমিহীন লোকজন ওই জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের কাগজপত্রের সংযুক্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের ভূমিহীন সনদ জমা দিতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান ভূমিহীন ব্যক্তিদের পাশাপাশি গ্রামের জিয়াউর রহমান, স্বপন মিয়া, আবুল মিয়া, কাসেম মিয়া, আমির হামজাসহ অন্তত ২৫ জনকে ভূমিহীন হিসেবে সনদ দেন। যদিও তাঁদের নিজস্ব সম্পদ আছে। ইউপি চেয়ারম্যান সনদপ্রতি পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা করে নিয়ে এসব ভুয়া সনদ দিয়েছেন। এ ছাড়া মনিকা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে খুচরা সারের ডিলারশিপ দেওয়ার কথা বলে লিখিত প্রত্যয়নের মাধ্যমে তিনি ৫০ হাজার টাকা নেন। ইউপি তথ্যসেবা কেন্দ্রের ১২ লাখ টাকা মূল্যের সৌর প্যানেল আত্মসাৎ করারও অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এসব ঘটনায় গত ২৮ এপ্রিল গ্রামের মিজানুর রহমানসহ ৫০ জন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপির শাখা-১–এর উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খানকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন। মাইদুল ইসলামকে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।