এখন ফেল করাটাই কঠিন, আমাদের সময় ৫০ ভাগ শুধু টেস্ট পরীক্ষাতেই ফেল করত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘শিক্ষার প্রসার হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান বাড়েনি। আজকালকার দিনে শিক্ষাব্যবস্থা এমন হয়েছে, পরীক্ষায় ফেল করাটাই ডিফিকাল্ট (কঠিন) হয়ে গেছে। জিপিএ-৫-এর তো অভাবই নেই। আমাদের সময় ৫০ ভাগ শুধু টেস্ট পরীক্ষাতেই ফেল করত। আপনারা একটু প্রাইভেট কম পড়াবেন। শিক্ষার্থীর দিকে মনোযোগ দিন। শিক্ষার মান উন্নত করুন।’
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ১৩৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বেশি বেশি করে খেলাধুলা করতে হবে, তাহলে অন্য বদভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকা যাবে।’
সারা দেশে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযান বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে শয়তান যত দিন থাকবে, তত দিন অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযান চলবে।
নির্বাচন বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর। এটি হবে শতভাগ নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রিসাইডিং বা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা কোনো প্রভাব দেখাতে পারবেন না।
মুন্সিগঞ্জবাসীর উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কাজ কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। মুন্সিগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের দাবি রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। এটার জন্য জায়গা পাওয়াটাই ডিফিকাল্ট। তবে আমাদের চেষ্টা রয়েছে।’
ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতাউল গনি ওসমানী, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারি কলেজের অধ্যাপক রসময় কীর্তনীয়া, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা বাঁধ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ।