প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে নরসিংদী জেলা জামায়াত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের প্রতিবাদ
প্রথম আলোর অনলাইনে গতকাল সোমবার প্রকাশিত ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মো. আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত জেলা জামায়াতের আমির মোছলেহুদ্দীন ও সেক্রেটারি মো. আমজাদ হোসাইনের প্রতিবাদসংক্রান্ত বিবৃতি সরবরাহ করা হয়।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামের যৌথ বিবৃতিটি পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদের স্বাক্ষরে।
নরসিংদী জেলা জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা যথার্থ নয়। নরসিংদীর মাধবদীর ইসলামী ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তার সঙ্গে সংঘটিত ওই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতা–কর্মীকে কাল্পনিকভাবে জড়ানো হয়েছে। বাস্তবে ছাত্রশিবিরের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীলের বক্তব্য না নিয়ে একপক্ষীয়ভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক আবু সাইদ বলেছেন, কিছুসংখ্যক খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। অথচ তিনি যাঁর নাম বলেছেন, তিনি ব্যাংকের বিনিয়োগ গ্রাহক নন। জামায়াত-শিবির কখনো চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। একপক্ষীয়ভাবে ব্যাংক ম্যানেজার জামায়াত–শিবিরের সুনাম–সুখ্যাতি ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রতি তিনি বিষোদগার করেছেন।
অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সংবাদে ছাত্রশিবিরের কারও কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। সংবাদটিকে মনগড়া উল্লেখ করে দাবি করা হয়, সংবাদে উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
ভুক্তভোগী আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া ও ইসলামী ব্যাংক পিএলসির মাধবদী শাখা ব্যবস্থাপক আবু সাঈদের দেওয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্যেই ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার বিষয়টি এসেছে। মাধবদী পৌর জামায়াতের আমির আমিনুল ইসলামকে নিয়ে যাঁরা ২৭ মার্চ বিকেলে ব্যাংকে গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁরাই সোমবারের ওই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া। তাঁর বক্তব্যের প্রমাণ প্রথম আলোর কাছে রয়েছে।
এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর মাধবদী থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. জাফরুল্লাহ খানের বক্তব্য সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।