নারায়ণগঞ্জে সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলার ঘটনায় একজন আটক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বহন করা গাড়িতে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাড়িয়ার চর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
গতকাল রোববার রাত দুইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
এ সম্পর্কে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা চারপাশে অভিযান চালাই। ঘটনাস্থলের কাছ থেকে একজন তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীকে আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছি। তাঁকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী নেতাদের গাড়িতে হামলার ঘটনাটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক হামলা নয় বলে মন্তব্য করেন ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, এটা রাজনৈতিক হামলা নয়। তবু আমরা সব কটি বিষয় বিবেচনায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছি। বছরের পর বছর ধরে স্থানটি ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্য। ফলে সেখানে আমরা নিয়মিত টহল দিই। গতকাল রাতেও আমাদের টহল চলছিল। ঠিক তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিন–চার মিনিটের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ছিনতাইকারীরা তখন পালিয়ে যান। ছাত্রনেতাদের দাবি, তাঁদের মুঠোফোনসহ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোনগুলোর নম্বর চেয়েছিলাম। তাঁরা যে দুটো নম্বর দিয়েছেন, সেগুলো আগে থেকেই অব্যবহৃত।’
সাংগঠনিক কাজে বান্দরবানের লামায় যাওয়ার পথে গতকাল দিবাগত রাত দুইটায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বহন করা গাড়িটি হামলার মুখে পড়ে। ওই গাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, সদস্য রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, মাহমুদা সুলতানা, রাকিব মোহাম্মদ, মুঈনুল ইসলাম, ইব্রারিম নীরব; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন মিতু ও ছাত্রনেতা মিশু আলী ছিলেন।